ঢাকার পরিস্থিতি দিল্লির কাছে 'কৌশলগত চ্যালেঞ্জ', হাসিনাকে আশ্রয় মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে- বলল কমিটি

ভারতের পার্লামেন্ট ভবন

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান, ভারতের পার্লামেন্ট ভবন

বর্তমানে ঢাকার রাজনৈতিক অবস্থা ও নিরাপত্তা সঙ্ক্রান্ত পরিস্থিতি দিল্লির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটি।

কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভারতের জন্য "সবচেয়ে বড় স্ট্র্যাটেজিক (কৌশলগত) চ্যালেঞ্জ" তৈরি করেছে।

পাশাপাশি সংসদে পেশ করা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে পরিস্থিতি সরাসরি "বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের দিকে হয়ত যাবে না", তবুও তা মোকাবিলার জন্য সতর্ক থাকা প্রয়োজন। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিষয়ে ভারতের কৌশলগত পুনর্মূল্যায়ন করার সুপারিশও দিয়েছে শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি।

রিপোর্টে একদিকে যেমন ভারতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানকে "মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গি" থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তেমনই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নজর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

পাশাপাশি "ইসলামিক মৌলবাদী শক্তির পুনরুত্থান" এবং ঢাকায় "চীন ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের" দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

আরও পড়ুন
বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ছবির উৎস, NurPhoto via Getty Images

ছবির ক্যাপশান, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর- অগ্নিসংযোগের

প্রসঙ্গত, 'ফিউচার অফ ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশনশিপ' (ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত) শীর্ষক ওই রিপোর্ট এমন সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে, যখন দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে আরো একবার টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের পর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় দৈনিক প্রথমআলো, ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট সহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তন ও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট হয়েছে।

সর্বোপরি গত ১২ই ডিসেম্বর ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হামলাকারী ভারতে পালিয়েছে, এমন কিছু খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মাঝে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন মুখে কোনো কোনো সংগঠনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরেও উত্তেজনা দেখা দেয়। ভারতের তরফেও প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছবি- প্রতীকী চিত্র।

ছবির উৎস, Hindustan Times via Getty Images

ছবির ক্যাপশান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও বলা হয়েছে- প্রতীকী ছবি।

কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে?

স্কিপ করুন বিবিসি বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল পড়ুন
আপনার হোয়াটসঅ্যাপে বিবিসি বাংলা।

বিবিসি বাংলার সর্বশেষ খবর ও বিশ্লেষণ এখন সরাসরি আপনার ফোনে।

ফলো করুন, নোটিফিকেশন অন রাখুন

বিবিসি বাংলার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ বিবিসি বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল

শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির রিপোর্টে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি তাৎক্ষনিক ভাবে ভারতের জন্য অস্তিত্বের হুমকি নয়। কিন্তু সেটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং ভারতের প্রতিবেশী নীতির উপর প্রভাব ফেলে- এমন একটি "গভীর ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত পরীক্ষার" প্রতিনিধিত্ব করে।

'ফিউচার অফ ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশনশিপ' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বর্তমানে বাংলাদেশ নিয়ে সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। যদিও ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জটি ছিল অস্তিত্বের, মানবিক এবং নতুন রাষ্ট্রের জন্মের।"

সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জটি "গুরুতর, একটি প্রজন্মের বিচ্ছিন্নতা, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং একটি ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার জন্য সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের।"

এই প্রতিবেদন তৈরির জন্য কমিটি সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য ও মতামত বিবেচনা করেছে। ওই বিশেষজ্ঞরা কমিটিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশটিতে বহিরাগত শক্তির প্রভাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

২০২৪ সালের পাঁচই অগাস্ট বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

ছবির উৎস, AFP via Getty Images

ছবির ক্যাপশান, ২০২৪ সালের পাঁচই অগাস্ট বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি "কমপ্লেক্স অ্যান্ড ইভল্ভিং" অর্থাৎ জটিল এবং বিবর্তিত বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র বিষয়ক ওই সংসদীয় কমিটি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে ওই কমিটিকে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের বিষয়ে ভারত সরকার "উদ্বিগ্ন"।

দুই দেশের সম্পর্কে যাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলীর প্রভাব না ফেলতে পারে, তার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে "দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এর প্রভাব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে" সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বাক্স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপের মতো একাধিক বিষয় নিয়েও উদ্বেগের কথা জানিয়েছে কমিটি।

গত বছর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাবলীকে খতিয়ে দেখে কমিটির তরফে বলা হয়েছে, "২০২৪ সালের অগাস্ট মাসের রাজনৈতিক ঘটনাগুলি সংখ্যালঘু, উপজাতি সম্প্রদায়, মিডিয়া গ্রুপ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদদের ওপর আক্রমণ এবং ভীতি প্রদর্শনের ঘটনাগুলির সাথে উল্লেখযোগ্য অস্থিতিশীলতা এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।"

মুদ্রাস্ফীতি এবং ধীরগতির অর্থনীতি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মানুষের যন্ত্রণা বাড়িয়ে তুলেছে।

শেখ হাসিনা- ফাইল ছবি।

ছবির উৎস, Bloomberg via Getty Images

ছবির ক্যাপশান, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলে বলছে ভারতের সংসদীয় কমিটি- ফাইল ছবি।

শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে

সংসদে পেশ করা ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কেও উল্লেখ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, তার বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্ত "মানবিক দৃষ্টিকোণ" এবং দেশের ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে মাথায় রেখেই নেওয়া।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, "কমিটি নোট করেছে যে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ দেশে অবস্থান এবং এই বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি দেশটির মূল্যবোধ এবং মানবিক ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে নেওয়া সিদ্ধান্ত। গুরুতর দুর্দশাগ্রস্ত বা অস্তিত্বের হুমকির মুখোমুখি ব্যক্তিদের আশ্রয় দিয়েছে ভারত।"

শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি কমিটিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার "ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে বিবৃতি দিচ্ছেন যার অ্যাক্সেস তার কাছে রয়েছে" এবং ভারত তাকে কখনোই ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করার জন্য কোনো রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম বা রাজনৈতিক স্থান প্রদান করে না।"

চীন ও পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির নেপথ্যে একাধিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে একদিকে যেমন অস্থিরতার মূল কারণ হিসাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগের আধিপত্য কমে আসার কথা বলা হয়েছে, তেমনই ইসলামিক মৌলবাদী শক্তির উত্থান এবং বাংলাদেশে চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধির দিকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, "এই ঘটনাবলীর নেপথ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের আধিপত্যের পতন, তরুণ নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদের উত্থান, ইসলামপন্থীদের পুনরায় প্রবেশ এবং সম্মিলিতভাবে চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব।"

"ভারত যদি এখনই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং অপ্রাসঙ্গিকতার জন্যই ঢাকায় (ভারতের) কৌশলগত অবস্থান হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।"

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গে

কমিটির তরফে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ভারত বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে এবং দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "সমর্থন জানানোর সময় ভারত সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে আমাদের নীতিগুলি জনমুখী এবং এর লক্ষ্য কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যবস্থা নয়।"

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রভাবিত না করতে পারে, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই তালিকায় "অবৈধ অভিবাসন, মৌলবাদ ও চরমপন্থা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে চরমপন্থী বক্তব্য"সহ একাধিক ইস্যু উল্লেখ করা হয়েছে।

পাশাপাশি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিষয়ে ভারত এখনও উদ্বিগ্ন এবং বিভিন্ন স্তরে বিষয়টি উত্থাপনও করা হয়েছে।

১৯৭১-এর প্রসঙ্গ

পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে ১৯৭১-এর প্রসঙ্গও এসেছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, "যদিও (দুই দেশের মধ্যে) সম্পর্ক আরও বহুমাত্রিক হয়ে উঠছে এবং বাংলাদেশে এক নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে, তবুও এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ১৯৭১ সালের উত্তরাধিকার আমাদের দুই দেশের মধ্যে সদিচ্ছা বৃদ্ধি এবং ঐতিহাসিক ভ্রাতৃত্ববোধকে শক্তিশালী করবে।"

পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। রিপোর্টে পররাষ্ট্র সচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, "আমাদের সেই স্বার্থান্বেষী মহলকে মোকাবিলা করতে হবে, যারা ১৯৭১-এর চেতনার বিপরীত আখ্যানকে অনুসরণ করতে চায়।"

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শশী থারুর-ফাইল ছবি।

ছবির উৎস, /Hindustan Times via Getty Images

ছবির ক্যাপশান, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শশী থারুর-ফাইল ছবি।
বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর

শশী থারুর কী বলেছেন?

শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সে প্রসঙ্গে শশী থারুর বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, "বাং লাদেশ থেকে আসা এই খবরে আমি খুবই হতাশ। পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে আমরা (ভারত) সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যোগাযোগ স্থাপন এবং দুই দেশের সম্পর্ককে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়েছি।"

"এটি এমন একটি সম্পর্ক যেখানে আমাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে, কারণ আমরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি এবং এত বছর পরেও, আমরা হঠাৎ বাংলাদেশের জনগণকে ত্যাগ করতে পারি না। একই সঙ্গে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এবং ভারতের পক্ষে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যে ধরণের অস্থিরতা ছড়ানো হচ্ছে, তা খুবই উদ্বেগজনক বিষয়।"