আপনি এই ওয়েবসাইটের একটি টেক্সট(লিখিত) সংস্করণ দেখছেন, যা কম ডেটা ব্যবহার করছে। ছবি ও ভিডিওসহ মূল সংস্করণ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
'জয় বাংলা' শ্লোগান আর ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে যেভাবে বিভক্তি এসেছে
- Author, কাদির কল্লোল
- Role, বিবিসি বাংলা, ঢাকা
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু মূল নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এর মূলে ছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা।
'জয় বাংলা' শ্লোগান জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করেছিল সেই যুদ্ধে।
কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সেই ঐক্যে ফাটল ধরে। গত ৫০ বছরে এসব বিষয় নিয়ে বিভক্তি এবং মতপার্থক্য বেড়েই চলেছে।
'জয় বাংলা' মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান। এই শ্লোগান কীভাবে বাংলাদেশের হয়েছিল এ নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে।
উনিশশ ষাটের দশকের একজন ছাত্র নেতা জানিয়েছেন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যূত্থানের চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার আগেই রাজপথে ছাত্রদের মিছিলে উচ্চারিত হতে থাকে 'জয় বাংলা' শ্লোগান।
১৯৭০ সালের যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই নির্বাচনের আগে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ শেষ করেছিলেন 'জয় বাংলা' শ্লোগান দিয়ে।
৬৯-এর গণঅভ্যূত্থানের নেতা এবং এখন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, 'জয় বাংলা' শ্লোগান দিয়েই মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীকে মোকাবেলা করতো।
"১৯৬৯-এ গণঅভ্যূত্থানের সময়ই জয়বাংলা শ্লোগান দিতে শুরু করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ৬৯ সালেই পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় আমরা এই শ্লোগান দিয়েছি।"
"মুক্তিযুদ্ধের সময় জয়বাংলা জাতীয় শ্লোগানে রুপান্তরিত হয়। জয়বাংলা শ্লোগান দিয়েই কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীকে মোকাবেলা করে এবং পরাজিত করে" - বলেন তোফায়েল আহমেদ।
'জয় বাংলা' এবং 'জিন্দাবাদ'
স্বাধীন বাংলাদেশে অল্প সময়ের মধ্যেই ঐক্যে ভাঙন ধরে।
রাজনৈতিক বিভক্তির বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায় দু'টি শ্লোগান 'জয় বাংলা' এবং 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।'
তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিভক্তির রাজনীতি থেকে মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগানকেও দলীয় শ্লোগান হিসাবে দেখিয়ে বিতর্কিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "স্বাধীনতার পরও কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জয়বাংলা শ্লোগান দিতাম। কিন্তু পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হওয়ার পরে যেমন জিয়াউর রহমানের বিএনপি এবং যে জাসদ একসময় জয়বাংলা শ্লোগান দিতো, তারা সেই শ্লোগান দেয়া বন্ধ করে। জাসদতো আওয়ামী লীগ থেকেই বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল করেছিল ১৯৭২ সালে।"
"এরপরে বিভিন্ন দল এটাকে দলীয় শ্লোগান হিসাবে চিহ্নিত করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।"
মি: আহমেদ বিভক্তির রাজনীতি শুরুর দায় চাপিয়েছেন জাসদের রাজনীতি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ওপর।
কিন্তু জাসদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আকতার বলেছেন, সদ্য স্বাধীন দেশে মতাদর্শের পার্থক্য নিয়ে ছিল তাদের রাজনীতি। মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি নিয়ে তারা কখনও কোন প্রশ্ন তোলেননি বলে তিনি দাবি করেছেন।
"মুক্তিযুদ্ধের পরে যে সময়টি, তখন জাসদ যে কাজটি করেছিল, সেটা একেবারেই বাংলাদেশের অর্থনীতি-রাজনীতি কেমন হবে- তা নিয়ে আমাদের সাথে একটা পার্থক্য তৈরি হয়েছিল। আমরা সমাজতন্ত্রের আদর্শ লালন করেছিলাম।"
"আমরা জাসদ আজকে বলছি এবং তখনও বলেছি, সমাজতন্ত্রের আন্দোলন এগিয়ে নিতে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার লড়াইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চালিয়ে যেতে হবে।" বলেন জাসদ নেত্রী।
বিভক্তির পথে
আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, জাসদই প্রথম 'জয় বাংলা' শ্লোগান দেয়া বন্ধ করেছিল।
জাসদ নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, সদ্য স্বাধীন দেশে শেখ মুজিবের সরকারের বিরোধীতা করে নতুন দল জাসদের উত্থান হলে সেই দলটি 'জয় বাংলা' শ্লোগান ব্যবহার করেনি। কিন্তু তখন জাসদ 'জিন্দাবাদ' শ্লোগান দেয়নি।
তারা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবকে হত্যার পরই "হত্যাকারীরা প্রথম বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগান দিয়েছে।"
সেই সময় আওয়ামী লীগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় 'জিন্দাবাদ' শ্লোগানের প্রাধান্য ছিল দীর্ঘ সময়।
জাসদ নেত্রী শিরীন আকতার বলেছেন, '৭৫-এর পট পরিবর্তনের পরই জয় বাংলা শ্লোগানের পাশাপাশি বাঙালি জাতীয়তাবাদসহ মুল ভিত্তিগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে বিভক্তির রাজনীতির।
"জয়বাংলা শ্লোগান আমরা যারা দিয়েছি, স্বাধীনতার পরে বিভিন্ন রকম মতাদর্শগত সংগ্রাম তখন ছিল। তবে সবচেয়ে বড় যে সংকটটি তৈরি হয়েছিল, সেটি হলো, যারা পাকিস্তানে বিশ্বাস করেছে, যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করেনি এবং যারা ধর্মান্ধ- সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিল, ৭৫এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই ব্যক্তিবর্গ সেনাশাসনের সমর্থনে একটা রাজনীতির জন্ম দিলো। যার উদ্যোক্তা জিয়াউর রহমান।"
তিনি আরও বলেছেন, "যখন এই জাতির ভিত্তি আমরা বাঙালি না বাংলাদেশি-এই পার্থক্যের মধ্যে চলে আসলো, তখনই কিন্তু এই দ্বিধা বিভক্তি দেখা গেলো।"
তবে শিরীন আকতার বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষের শক্তি এখনও ঐক্যবদ্ধ আছে।
"যে শক্তিটা পাকিস্তানের ধারায় মুক্তিযুদ্ধের সময়ও কাজ করেছে - সেই শক্তি রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা যখন পেলো, তখন সেটা শক্তিশালী হয়েছে।"
বাঙালি নাকি বাংলাদেশি
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ভিত্তি ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাকে চার মূল নীতির একটি নীতি হিসাবে যুক্ত করা হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক রওনক জাহান বলেছেন, ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং পরে মুক্তিযুদ্ধেও জনগোষ্ঠীর একটা অংশ বিরোধিতা করেছিল। ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রের সেই শক্তিকে সাথে নিয়ে তখন সামরিক শাসকরা বিভক্তির রাজনীতির বিস্তার ঘটিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
"বাঙালি জাতীয়তাবাদ সংবিধানেই যখনই আনা হচ্ছিল, তখনই পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিনিধিরা বললেন যে, তারা বাঙালি নন। তারপর যারা ইসলামপন্থী, তারা যখন আবার বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করলেন, তারা পাকিস্তানি ধারণা ফেরত আনতে চেষ্টা করলেন।"
"বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই সামরিক শাসকরা রাজনৈতিক সমর্থন যোগাড় করার জন্য এই ইসলামপন্থীদের সাথে নিয়ে কিছু বামপন্থীকে কাছে টানতে শুরু করলেন। তখন ডান-বাম মিলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি তারা নিয়ে এলেন। ফলে বিভক্তি দৃশ্যমান হতে থাকলো।"
জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদের বদলে এনেছিলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। তার সময়ই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ফিরে আসে।
রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ অনেক সময়ই এই বিষয়গুলোকে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে থাকে।
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের নেতা সংবিধানে বিসমিল্লাহ যুক্ত করলেও ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র করার কোন চিন্তা ছিল না।
"জিয়াউর রহমান সাহেব করেছিলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। সেটা ছিল যৌক্তিক এবং সঠিক। কারণ বাংলাদেশেতো শুধু বাঙালি ছিল না, উপজাতি সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ছিল। তবে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোন সমস্যা ছিল না। বাংলাদেশে একটা বাস্তবতা আছে, যে ধর্মেরই হোক না কেন-তারা স্ব স্ব ধর্ম বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেয়। সেই জায়গায় তিনি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম বিশ্বাসকে মর্যাদা দেয়ার জন্য বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন। "
"কিন্তু ধর্মকে ভিত্তি করে রাষ্ট্র গঠন করবার কোন প্রচেষ্টা সেসময় নেয়া হয়নি এবং এখনও তা নেই" - বলেন মি: আলমগীর ।
রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম
আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, জিয়াউর রহমান সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পাল্টিয়ে বিসমিল্লাহ যুক্ত করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতাতেই আরেক সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ সংবিধানের আবার সংশোধন করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল ভিত্তিগুলো নিয়ে বিভক্তির রাজনীতির কারণে উগ্র শক্তিগুলো এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
"জাতির জনককে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা যখন নিলো, তারপর সে কিন্তু সংবিধান পরিবর্তন করলো। আজকে যে মৌলবাদীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে, এর ভিত্তি করে দেয়া হয়েছিল সেই সংশোধনীর মাধ্যমে।"
'উল্টোপথে'
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি যখন বদলে গেছে, তখন দেশ একেবারে উল্টোপথে হেটেছে।
যদিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় সরকারে এসে ৭২ এর সংবিধানের অনেক বিষয় ফেরত এনেছে।
কিন্তু বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম - এই দু'টি বিষয়ে তারা হাত দিতে পারেনি।
অধ্যাপক রওনক জাহান বলেছেন, বিভক্তির রাজনীতির কারণে যে পরিস্থিতি হয়েছে, সেটা দু:খজনক বলে তিনি মনে করেন।
"মুক্তিযুদ্ধের সময়ও কিছু কিছু লোক যে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল, যেমন মুসলিম লীগ এবং ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল, তারা সুযোগের সন্ধানে ছিল। আর সুযোগ পেয়েই তাদের বিস্তার ঘটছে।"
অন্যদিকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শাসনের ব্যর্থতা এবং বাকশাল বা একদলীয় শাসনের কারণেই বিভক্তির রাজনীতি শুরু হয়েছিল।
বিএনপি নেতা মি: আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার পর প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মধ্যে অনেক ফারাক ছিল এবং সেকারণেই হতাশা থেকে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে যেতে শুরু করে।
"মূলত স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগের যে শাসন, তাতে জনগণের আশা আকাঙ্খা কিছুটা পূরণ হয়নি এবং চরম হতাশা দেখা দেয়। সেখান থেকেই মূলত সেই ঐক্য কিছুটা বিনষ্ট হয়েছে। এটা মূলত আওয়ামী লীগের অপশাসনের কারণে। এছাড়া তাদের যে ঐ একক চিন্তাভাবনা ছিল যে মুক্তিযুদ্ধের একক কৃতিত্বই আমাদের। এই যে ধারণাটা সৃষ্টি করা হলো, একারণেই বিভক্তি প্রসারিত হয়েছে।"
আওয়ামী লীগ এমন অভিযোগ মানতে রাজি নয়।
বিভক্তি: দৃশ্যপটে ভারত
বিভক্তির রাজনীতি নিয়ে এখনকার প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ রয়েছে।
তবে লেখক এবং গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বিভক্তির রাজনীতির প্রেক্ষাপটকে দেখেন ভিন্নভাবে।
"ধর্ম নিরপেক্ষতার চর্চা হয়েছিল ৬০ এর দশকে। একটা সাংস্কৃতিক জাগরণও ছিল। যেহেতু পাকিস্তানি শাসকরা এদেশে বৈষম্য তৈরির জন্য এবং শোষণ করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করেছে। সেকারণে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক আন্দোলনটাই অসম্প্রদায়িক রাজনীতিতে পরিণত হয়।"
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, "৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর যখন পাকিস্তান পরাজিত হয় এবং তারা আর দৃশ্যপটে নাই। তখন কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষতার আবরণটি সরে গেছে। সেখানে সামনে এসেছে নতুন বাস্তবতা আমাদের আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রতিবেশী ভারত। "
"এই ভারতকে সাম্প্রদায়িক শক্তি সব সময়ই মনে করতো হিন্দু রাষ্ট্র। সেই জিনিসটাই আস্তে আস্তে মাথা চাড়া দিয়েছে। এবং এই ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে আস্তে আস্তে ক্ষমতাসীনরাও সরে গেছে। তখনই কিন্তু পরবর্তী ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়ে গেছে" -বলেন মি. আহমেদ।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি দুই দলের নেতারাই স্বীকার করেন যে, বিভক্তির রাজনীতির সুযোগে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং উগ্রতার বিস্তার ঘটছে।
কিন্তু বাংলাদেশের এখনকার বাস্তবতায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিতে আবারও ঐকমত্য হওয়া সম্ভব নয় বলে তারা মনে করেন।