আপনি এই ওয়েবসাইটের একটি টেক্সট(লিখিত) সংস্করণ দেখছেন, যা কম ডেটা ব্যবহার করছে। ছবি ও ভিডিওসহ মূল সংস্করণ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সংসদ নির্বাচন: ছয়টি আসনে পুরোপুরি ইভিএমে ভোটগ্রহণ
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে , এবারের নির্বাচনে ছয়টি সংসদীয় আসনের সমস্ত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের মাধ্যমে। শনিবার নির্বাচন কমিশনে এ বৈঠকের পর কমিশনের কর্মকর্তারা একথা জানান।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন এলাকাগুলোর মধ্য থেকে দৈব চয়নের ভিত্তিতে ছয়টি নির্বাচনী আসন বাছাই করা হবে, এসব আসনে পুরোটাই ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
ছয়টি আসনে সবমিলিয়ে ৯০০ কেন্দ্রে যন্ত্রে ভোট গ্রহণ হবে, সেখানে প্রচলিত ব্যালট পেপার থাকবে না।
আরো পড়ুন:
আগামী ২৮শে নভেম্বর এই আসনগুলো বাছাই করবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হচ্ছে মূলত শহর এলাকাগুলো থেকে। এজন্য কিছুদিন আগে তড়িঘড়ি করে আইন সংশোধন ও অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে অবস্থান জানালেও, বিএনপি এবং তাদের জোটের দলগুলো ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি জানাচ্ছিল। আপত্তি না শুনলে মামলা করার হুমকিও দিয়েছে তারা।
বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
ভোটাররা অভ্যস্ত নয় -এই যুক্তি তুলে ধরে এই নির্বাচনে তা ব্যবহার না করার জন্য আহবান জানিয়েছিল এমনকী ক্ষমতাসীন মহাজোটের অংশীদার জাতীয় পার্টি।
ইভিএম ব্যবহার নিয়ে মামলা হলে কমিশন কি বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেবে?
জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ''আগে মামলা করুক, তারপর সেটা দেখা যাবে।''
ইভিএম ব্যবহারে কতটা সক্ষম ইসি?
এর আগে স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সময় যন্ত্রে ক্রুটি বা সমস্যায় পড়েছিলেন ভোটাররা।
তবে ইসি সচিব বলছেন, স্টাফ এবং কেন্দ্রের সক্ষমতা সকল কিছু বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইভিএমের এই প্রকল্পে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একটি দল।
আটাশ তারিখে কেন্দ্রগুলো নির্ধারণ করার পরে এসব কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ইভিএম ব্যবহারের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে বলছে কমিশন।
নির্বাচনের দিন এসব কেন্দ্রে কারিগরি সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরাও থাকবে। পাশাপাশি আঙ্গুলের ছাপের কারণে কোন ভোটারের সমস্যা হলে, সেক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তাদের ভোট প্রদানে সরাসরি সহায়তা করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে ইভিএম প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইভিএম বিতর্ক
তবে ইভিএম ব্যবহারের এই পরিকল্পনাকে গোড়া থেকেই 'দুরভিসন্ধিমূলক' বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে অগাস্ট মাসে ইসি বৈঠক বর্জন করেছিলেন একজন কমিশনার।
এসব আপত্তির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ বলছেন, বিরোধীদের আপত্তি বিবেচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কারণ, তিনি বলেন, ডিজিটাল একটি প্রযুক্তি হিসাবে এটির ব্যবহার থেকে তারা পিছিয়ে থাকতে চান না।
বিরোধীদের আপত্তি নিয়ে এখন আর তাদের কিছু করার নেই বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মি আহমেদ।