সাকিবের ইনজুরি: কতটা ভয়াবহ ছিল? সারতে কতদিন?

ছবির উৎস, সাকিব আল হাসান
২৭শে সেপ্টেম্বর বা হাতে ফোলা নিয়ে সাকিব আসার পর বাংলাদেশের একটি হাসপাতালে দ্রুত অপারেশন করা হয়।
সেখানে ৫০ থেকে ৬০ মিলিলিটার পুঁজ বের হয়।
সাকিব আল হাসান চিকিৎসক এম আলীর তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, সাকিব যে অবস্থায় আসেন সেখানে অপারেশন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না।
সাকিব আল হাসানকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তবে চিকিৎসক আলী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আলোচনা করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই ঘন্টার মধ্যে অপারেশন করানো হয়।
তিনি বলেন, "সংক্রমণ হওয়ার কারণে ঠিক কোন ধরণের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয় সেটা দেখতে গিয়ে সুডোবোনাস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়।"
চিকিৎসক এম আলীর সাথে কথা বলে বোঝা যায় যে সাকিব যখন হাসপাতালে আসেন তখন অবস্থা ভয়াবহ ছিলো। হাতে আরো খারাপ কিছুও হতে পারতো।
ঠিক কতোদিন সময় লাগতে পারে সাকিব পুরোপুরি সুস্থ হতে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "মূল অস্ত্রোপচারের জন্য দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় নেয়ার প্রয়োজন। মূলত সংক্রমিত জায়গা ঠিক হতে সময় প্রয়োজন, তারপর অস্ত্রোপচার।"
ধারণা করা যাচ্ছে সব মিলিয়ে তিন মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন সাকিব।
বা হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চোট পান সাকিব। চোটের কারণে শুরুতে নিদাহাস ট্রফির দলে না থাকলেও পরে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ব্যথানাশক ঔষধ নিয়ে খেলেন সাকিব আল হাসান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনি।
এশিয়া কাপের আগে সাকিব নিজের হাতে অস্ত্রোপচার করাতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চাওয়া ছিল এশিয়া কাপের পরে অস্ত্রোপচার করানো।
কিন্তু গত সোমবার এশিয়া কাপ চলাকালীন ব্যথা বাড়ে ফলে আবারো স্ক্যান করানোর পর এশিয়া কাপ না খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এশিয়া কাপে সাকিব মোট ৭টি উইকেট নিয়েছেন।








