আপনি এই ওয়েবসাইটের একটি টেক্সট(লিখিত) সংস্করণ দেখছেন, যা কম ডেটা ব্যবহার করছে। ছবি ও ভিডিওসহ মূল সংস্করণ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
বাংলাদেশে কোটা বাতিলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে উদ্বেগ-সংশয়, নতুন কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত একমাসের মধ্যে একাধিকবার সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেও, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃবৃন্দ আবারো নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
কোটা বাতিলে সরকারি প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আগামিকাল (বুধবার) সারা দেশে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব-বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন - সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রায় এক মাস পরেও কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ- উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
পরিষদের সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, "সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ২৭ দিন পার হয়ে গেছে, এর মাঝে প্রধানমন্ত্রী আরো একবার তার সিদ্ধান্তের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন, কিন্তু কোনো প্রজ্ঞাপন এখনো নেই।"
গত ২৭শে এপ্রিল আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতার সাথে বৈঠকের পর আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ প্রজ্ঞাপন জারির জন্য ৭ই মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন।
"আমাদের কথা দেওয়া হয়েছিল - প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরলেই প্রজ্ঞাপন হবে...অথচ কিছু তো দেখা যাচ্ছেনা," বলেন রাশেদ খান।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন বিবিসি বাংলাকে বলেন- সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে 'বিভ্রান্তিমূলক' বক্তব্য নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সন্দিহান হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন:
"পত্র-পত্রিকায় দেখলাম জন-প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোজাম্মেল হক বলেছেন- 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে কালই তিনি প্রজ্ঞাপন জারি করে দিতে পারেন', ...প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তাহলে আসছে না কেন?"
কোটা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলছেন, সম্প্রতি একাধিক সরকারি চাকুরীর বিজ্ঞাপনে তারা কোটা থাকার বিষয়টি দেখেছেন।
বিন ইয়ামিন বলেন, "৬/৫/২০১৮ তারিখে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, সেখানে ৫৬ শতাংশ কোটার শর্ত রয়েছে...প্রজ্ঞাপন জারি না হলে কোটা থেকেই যাচ্ছে।"
আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কিছুই শোনা যায়নি।